নদীয়ার শান্তিপুরে ২০ ও ২১ শে জুন ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ! উদ্যোগে সামাজিক সংস্থা পূর্ণিমা মিলনী

Social

মলয় দে নদীয়া:-প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসে এরপর কি করব? কি নিয়ে পড়বো? কারণ বর্তমানে সরকারি চাকরির যা অবস্থা তাতে ভরসা হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই। তাই পেশা ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া এবং স্বনির্ভরতা অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ আজকের যুগে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। পড়াশোনা, ডিগ্রী যেমন দরকার রয়েছে ঠিক তেমনই বাস্তব জীবনে লড়াই করে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক দক্ষতা, প্রশিক্ষণ এবং প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা।

শান্তিপুরে তো বটেই নদীয়াতেও এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম নেওয়া হয়েছে বলে দাবি আয়োজক সংস্থার। অনেকেই প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে এসে পেশাগত শিক্ষার দিকে ঝুঁকছেন। আগেকার মত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, বি এ, এম এ, এম এস সি, বিএড এর হয়তো দিন শেষ হতে চলেছে এবার। তাই মাধ্যমিকের পর থেকেই পেশাভিত্তিক এবং বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পড়াশোনার বিভাগ চালু করা হয়েছে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন রকম নাচগান, অভিনয়, আবৃতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়, অটোমোবাইল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, মাস কমিউনিকেশন, ফিল্ম মেকিং ইত্যাদি একাধিক পেশাভিত্তিক পড়াশোনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর তারপরেই জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য পড়াশোনার ধরনও বদলেছে। কিন্তু প্রান্তিক পরিবার থেকে হোক কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে গ্রাম কিংবা মফস্বলের মানুষের এই সমস্ত পড়াশোনার বিষয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা শহরতলীর তুলনায় কম থাকার কারণে তাদের অল্প পুঁজির মধ্যেই তাদের সন্তানদের কোন বিষয় নিয়ে পড়াবেন যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজের পায়ে সাবলম্বী হতে পারে সেই রাস্তা খুঁজে পান না তারা।

কিন্তু বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা এ ধরনের জীবিকা সম্পর্কিত পড়াশোনা চালু করেছেন আর তাতেই ক্যারিয়ার গড়ছে তরুণ প্রজন্মদের। সেই থেকেই শহরমুখী এই পড়াশোনার ছোঁয়া লেগেছে মফস্বল কিংবা গ্রামেও নদীয়ার শান্তিপুরে পূর্ণিমা মিলনীর আয়োজনে এই প্রথম তাদের ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজন করতে চলেছেন এক শিক্ষামেলার। আগামী ২০ – ২১ জুন বেলা দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শান্তিপুর মতিগঞ্জে গীতা প্যালেসে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে চলেছে জেলা তথা কলকাতার সকল সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং শিক্ষকেরা। এমনকি এই সমস্ত পড়াশোনা করার জন্য ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট লোন কোথা থেকে কিভাবে পাবে কিংবা বিভিন্ন স্কলারশীপের কোথায় সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেই সমস্ত নিয়েও আলোচনা করা হবে। কোনরকম প্রবেশ মূল্য ছাড়াই এই মেলায় গিয়ে অভিভাবকেরা এবং ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং করতে পারবেন।

Leave a Reply