মলয় দে নদীয়া :- শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। তবে দক্ষিণের বিক্ষিপ্ত অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হলেও এখনই শেষ হচ্ছে না তীব্র গরম। পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , ঝাড়গ্রাম , পশ্চিম মেদিনীপুর , পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও বেশ কিছু দিন। দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের পরেই ঢুকছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ১৮ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ঢুকছে বর্ষা। পর্যন্ত জেলায় ১৭ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে 40 ডিগ্রিতে। মাঝেমধ্যে হলেও এরই মধ্যে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
খুদে পড়ুয়াদের আরো ভয়ানক পরিস্থিতি ।
চলতি বছর ২ মে থেকে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ৫ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এবং ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুল খুলবে। কিন্তু সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো হল।
গরমের ছুটি কাটিয়ে সবেই রাজ্যে স্কুল খোলার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অসহ্যকর গরম এবং তাপপ্রবাহের সতর্কতা জেরে গরমের ছুটি আরও বাড়িয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলে গরমের ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলবে। তারপর ১৫ জুন থেকে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলি খুলবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সেই মতো আজ বিদ্যালয় গুলি খুললেও, খুদে পড়বাদের মুখ ভার। অভিভাবক রাও খুশি নন, বহুদিন বাদে স্কুল খোলার ফলে উপস্থিতির হার যথেষ্ট। স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে, ক্লাসরুমে সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ঃ০০ টা পর্যন্ত কাটানো দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর সকল বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সমান নয়, কোথাও ক্লাসরুমে একটি মাত্র ফ্যান, একই বেঞ্চে ৪ -৫ জন করে বসা। তাই অভিভাবকরা চাইছেন বিদ্যালয় বর্ষা ঢোকার পরেই খোলার সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবই সরকারের নির্দেশ।