দেবু সিংহ,মালদা: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সাম্প্রতিক এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগরাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যাননি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে মালদার মানিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাবেই শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিক এখন ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীর ভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে কেন্দ্র ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে। তৃণমূলের নেতারা বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন। যাঁরা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে তাঁদেরকে কাঁটাতারের ওপাশের যেতে হবে। বিদেশের মাটিতে প্রধান মন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্য সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। অভিষেককে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুরমিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী। রামনবমীর দিন গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যে। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। পশ্চমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।