মলয় দে নদীয়া :-স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে এবছর, আর আর পাঁচটা সাধারণ বছরের মতন উদযাপিত হবে না স্বাধীনতা দিবস।
১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আয়োজিত গণপরিষদের একটি অধিবেশনে পতাকার বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় এবং সেই বছর ১৫ অগস্ট এটি ভারত অধিরাজ্যের সরকারি পতাকার স্বীকৃতি লাভ করে । এরপরে এটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রেও জাতীয় পতাকার স্বীকৃতি বজায় রাখে। ভারতে এটিকে “তেরঙা” নামে অভিহিত করা হয়। পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত “স্বরাজ” পতাকার আদলে। আর এই পতাকা নিয়েই সমস্ত ভারতবাসীর গর্ব অহংকার।
তবে এবছর থাকছে বেশ কিছু নিয়ম বদল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, অমৃত মহোৎসবের সূচনা হচ্ছে এ বছর। সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন “হর ঘর তিরঙ্গা”কর্মসূচি যেখানে পরিবর্তন করা হচ্ছে ২০০২ সালের কোড। ১৯৭১ সালের জাতীয় পতাকা অবমাননা আইনেও থাকছে বদল।
সাধারণ মানুষের কাছে, জাতীয় পতাকার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতে, এখন থেকে শুধুমাত্র সরকারি বেসরকারি সংস্থা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস এমন কি প্রতিটি বাড়িতেও সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত নয় দিবারাত্র উত্তোলিত থাকবে পতাকা। শুধুমাত্র ১৫ ই আগস্ট নয় ১৩ তারিখ থেকেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু হবে, চলবে দুদিন যাবত। গত ২০ শে জুলাই ২০২২ সালে সংশোধন অনুযায়ী শুধুমাত্র সুতির কাপড় নয়, উল সিল্ক পলিস্টার খাদির কাপড় জাতীয় পতাকার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, এমনকি যন্ত্র চালিত কারখানাতেও উৎপাদিত হবে জাতীয় পতাকা।
গত ২২ শে জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী একটি পোস্ট করেন আজাদী কি অমৃত উৎসব হর ঘর তিরাঙ্গা পালন করার অনুরোধ জানিয়ে।
তবে এই বিপুল পরিমাণ, জাতীয় পতাকার উৎপাদন হিসেবে, কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বস্ত্র বয়ন দপ্তরের উদ্যোগে, বিপুল পরিমানে পতাকা প্রস্তুত হয়েছে প্রায় এক মাস যাবত কাল ধরে। আর সেই পতাকা অত্যন্ত কম দামে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে স্বল্প মূল্যে তুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের হাতে। মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অফিস কে। নদীয়ার রানাঘাট কৃষ্ণনগর কল্যাণী সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অফিসে আজ এই উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কল্যাণীতে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। শান্তিপুর জাতীয় সংগীতের সাথে, জাতীয় পতাকার সম্পর্কিত নানান তথ্য ব্যক্ত করা হয় কর্মচারী এবং গ্রাহকদের মাঝে ।
নদীয়ার শান্তিপুর কাশ্যপাড়া পোস্ট অফিস থেকে আজ জাতীয় পতাকা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার শুভ সূচনা হয়।
প্রথম দিন হিসাবে ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম দিন উপলক্ষে ৩০ পিস জাতীয় পতাকা পাঠানো হয়েছিল যা নিমেষের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়, পোস্টমাস্টার প্রনত বাগ জানান প্রচুর পরিমাণে চাহিদার কারণে ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি প্রচুর পরিমাণ সরবরাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। পোস্টকার্ড খাম বিক্রির কাউন্টারেই নিয়মিত মিলবে জাতীয় পতাকাও।
গ্রাহকরাও খুশি এ ধরনের ব্যবস্থায়, তবে তারা মূল যে পরিষেবা তাতে প্রায়শই ব্যাঘাত ঘটে লিংক না থাকার কারণে, সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।