নিউজ সোশ্যাল বার্তা: সারা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। ফলে রক্তদান শিবির না হওয়ায় ব্লাড ব্যাংকগুলি প্রায় রক্তশূন্য । কিন্তু প্রতিনিয়ত কিছু কিছু মানুষের রক্তের চাহিদা তাদের কি হবে ? এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে । আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলায় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে হচ্ছে রক্তদান শিবির ।তেমনই এবার সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ালো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ফেসবুকের একটি সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠী “আমরা কৃষ্ণনগরবাসী” । আজ সকালে এই গোষ্ঠীর
সভাপতি অরিন্দম দেব এর কাছে খবর আসে বেথুয়াডহরী থেকে একটি রোগিণীর পরিবারের রক্তের প্রয়োজন ।খবর পাওয়া মাত্র গ্রুপের মডারেটর রাজেশ সরকার স্বেচ্ছায় রক্তদাতার খোঁজ শুরু করেন । এমতাবস্থায় রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন ওই গ্রুপের অন্যতম সদস্য সুজিত বিশ্বাস । একদিকে করোনার মতো মহামারী যখন তার করাল থাবায় মনুষ্য সভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, চারিদিকে রক্তের হাহাকারে আকাশ বাতাস কম্পিত, রক্তদান শিবিরের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা, সেইসময়, যখন সরকারি নির্দেশে বাড়ির বাইরে পা রাখা বারণ, ঠিক তখন মানব সভ্যতাকে ফিরিয়ে দেওয়া সুজিতের এই কাজে খুশি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ও রোগিণীর পরিবারের হাসিমুখ দেখেও খুব খুশি সুজিত বাবু ।
এখানেই থেমে থাকেনি সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠীর সদস্যরা । সেচ্ছাসেবী সংগঠন “উড়ান”এর অনুপ বাবুর কাছ থেকে গ্রুপের অন্যতম সদস্য শুভঙ্কর ব্যানার্জি জানতে পারেন রক্তাল্পতায় ভুগতে থাকা একজন অশিতীপর বৃদ্ধের জন্য এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন । অাবার ডোনার খোঁজা শুরু হয় । নিজের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীর দিনে এগিয়ে অাসেন কৃষ্ণনগর ফোয়ারার মোড়ের একটি নামি রেস্তোরাঁর মালিক সুমন সেন যিনি , আজকের এই সার্বিক বন্দিদশায় যখন পথপশুরা বিপন্ন, এক মুঠো খাবারের সন্ধানে ধুঁকতে থাকা সেই পথপশুদের মুখে খাবার তুলে দেন ।
শুভঙ্কর বাবু কৃতজ্ঞতা জানান অনুপ বাবু ও ওনাদের নিরলস কাজ করে যাওয়া সমস্ত সদস্যদের প্রতি। এছাড়াও আমরা কৃষ্ণনগরবাসী সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চাকদহের বাসিন্দা রাজেশ সরকার মহাশয় কে অভিনন্দন জানানো হয় যিনি সকাল থেকে ফোনের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি সুষ্ঠ্যভাবে তদারকি করে সুসম্পন্ন করেন।
সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠীর অন্যতম সভাপতি দেব বলেন ” গ্রুপের অন্যতম সদস্য শুভঙ্কর ব্যানার্জি, রাজেশ সরকার সহ অন্যান্যরা যেভাবে সাধারণ মানুষের বিপদের দিনে যেভাবে এসেছেন তার জন্য গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই । আগামী দিনে আমাদের এই “আমরা কৃষ্ণনগরবাসী” সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠী আরো বিভিন্ন সামাজিক কাজে সামিল হবে এই প্রত্যাশা রাখি” ।